পি এস সি কর্ণার
শর্বানী দত্ত।
সহকারি শিক্ষক
হবিগঞ্জ।
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা,
ভাল আছ
নিশ্চয়ই ।আজ তোমাদের জন্য থাকছে বিজ্ঞানের চতুর্থ অধ্যায়ের যোগ্যতাভিত্তিক ও রচনা মূলক প্রশ্ন গুলো ।
চতুর্থ অধ্যায়
বায়ু
১।আমাদের চারপাশে ঘিরে আছে কি?
ক)পানি খ) আলো গ) বায়ু ঘ) প্রকৃতি
২। বায়ুর আবরণকে কি বলে ?
ক) গ্যাস খ) বাতাসের আবরণ গ) বায়ু
মন্ডল ঘ) বায়ুর জাল
৩।তুমি শ্বাসের মাধ্যমে বায়ুর কোন
উপাদানটি গ্রহন করছ?
ক) নাইট্রজেন খ) অক্সিজেন গ) কার্বন ঘ) কার্বন-ডাইঅক্সাইড
৪)অক্সিজেন আমাদের কি কাজে লাগে ?
ক) খাদ্য পরিপাকে খ) শক্তি
উৎপাদনে গ)বিপাক কার্যে ঘ)কর্ম ক্ষমতা
বৃদ্বিতে
৫) আগুন জলে না কোনটি ছাড়া?
ক) নিয়ন খ) কার্বন গ) অক্সিজেন ঘ)নাইট্রোজেন
৬)সাইকেল চালিয়ে বন্ধুর বাড়িতে
যাচ্ছ , হঠ্যাৎ সাইকেলের গতি ধীর হয়ে গেল-এর কি কারণ হতে পারে ?
ক) সাইকেলটি নষ্ট হয়ে গেছে খ)
সাইকেলের চাকা বায়ু শূন্য হয়ে গেছে গ) সাইকেলটি তুমি চালাতে পারছ না ঘ)সাইকেলটি
ভেঙ্গে গেছে
৭) তোমার দাদুর প্রচণ্ড শ্বাস কষ্ট
হচ্ছে, তাকে কি দিতে হবে?
ক) ওষুধ খ) পানি গ) অক্সিজেন ঘ)নাইট্রোজেন
8) অক্সিজেন কোথায় কম থাকে?
ক)বায়ুমন্ডলে খ) উচুঁস্থানে গ)
পর্বতের চুড়ায় ঘ) খালি জায়গায়
৯।পানির নীচে ডুবুরিরা কি ব্যবহার
করে ?
ক) নিয়ন খ) কার্বন গ) অক্সিজেন
ঘ)নাইট্রোজেন
১০) তোমাদের জমিতে যে ইউরিয়া সার
দেয়া হয় এটি প্রস্তুতিতে কি ব্যবহার করা হয়?
ক)রাসায়নিক উপাদান খ) কার্বন
গ) অক্সিজেন ঘ)নাইট্রোজেন
১১।নাইট্রোজেন কোথায় কোথায়
ব্যবহার করা হয়?
ক)কাচাঁ ফল পাকানোর জন্য খ) মাছ,
মাংস, ফল ও চিপস সংরক্ষণে গ) খাদ্য দ্রব্য দীর্ঘদিন রাখার জন্য ঘ) খাদ্য দ্রব্য
স্বাদ ও গন্ধ বাড়ানোর জন্য
১২। তুমি দোকান থেকে এক বোতল কোমল
পানীয় আনলে, ছিপি খোলার পর বুদবুদ বের হল, এই বুদবুদ আসলে কি?
ক)রাসায়নিক উপাদান খ) কার্বন-ডাইঅক্সাইড গ) অক্সিজেন
ঘ)নাইট্রোজেন
১৩।আগুন নেভাতে সাহায্যে করে
বায়ুর কোন গ্যাসটি?
ক) নিয়ন খ) কার্বন গ) অক্সিজেন
ঘ)নাইট্রোজেন
১৪।তোমাদের বাড়ীর পাশের নদীটিতে
পাল তোলা নৌকা চলছে, পালতোলা নৌকা চালানো
হয়----
ক) মেশিন দিয়ে খ) পাখার বাতাস দিয়ে গ) বায়ু প্রবাহকে
কাজে লাগিয়ে ঘ) মানুষ দিয়ে
১৫। প্রাবাহিত বায়ু কি শোষণ করে
নেয় ?
ক) আলো খ) তাপ
গ) পানি ঘ) গ্যাস
১৬।বায়ু দূষিত হয় কোন গ্যাস বেড়ে গেলে ?
ক) নিয়ন খ) কার্বন-ডাই অক্সাইড গ)
অক্সিজেন ঘ)নাইট্রোজেন
১৭।কয়লা পোড়ালে বায়ুতে কি উৎপন্ন
হয়?
ক) কার্বন খ) সালফার অক্সাইড
গ) কার্বন-ডাই অক্সাইড ঘ)নাইট্রোজেন
১৮। সালফারের অক্সাইড বৃষ্টির
পানিতে মিশে পানিকে কি করে ?
ক) পানিকে ঘোলাটে খ) পানিকে এসিড যুক্ত গ) পানিকে লবনাক্ত ঘ) পানির রঙ কালো
১৯।বিড়ি সিগারেটের ধোঁয়াতে কি হয়?
ক) বায়ু দূষণ খ) মানুষের ক্ষতি গ)
নানা অসুখ ঘ) সব গুলোই
২০। এলার্জি, কাশি, হাপাঁনি, ব্রঙ্কাইটিস,
উচ্চ রক্তচাপ, মাথা ব্যাথা হয় কি কারণে?
ক) পানি দূষণের কারণে খ)
বায়ু দূষণের কারণে গ) বংশ গত কারণে ঘ) সংক্রামিত হওয়ার কারণে
উত্তরপত্র
১।গ, ২।গ
,৩।খ ,৪।খ, ৫। গ,
৬।গ, ৭।গ, ৮।গ,
৯।গ, ১০। খ, ১১। খ,
১২। খ, ১৩। গ, ১৪। গ, ১৫।খ, ১৬।খ, ১৭।খ, ১৮।খ,
১৯।খ, ২০।খ।
রচনা মূলক প্রশ্ন
১।কোমল পানীয়ের ছিপি খুললে কি
দেখতে পাও ?এর কারণ কি ব্যাখ্যা কর?
২।দোকান থেকে তোমার বাবা তোমাকে
একটি পটেটো চিপস কিনে দিল, এই চিপসের ভিতরে কোন গ্যাস থাকতে পারে? এবং কেন?
৩।কোথায় কোথায় অক্সিজেন ব্যবহার করা হয় বর্ণনা কর?
৪।পালতোলা নৌকা চালাতে, ভেজা চুল
শুকাতে বায়ুপ্রবাহকে কিভাবে কাজে লাগানো যায় বর্ণনা কর?
৫। তোমার বিদ্যালয়ের ময়লা আবর্জনা
,শুকনো পাতা পোড়ালে পরিবেশের কী ক্ষতি হতে পারে লিখ।
সৃজনশীল পদ্ধতিঃ ‘ভয় নয়-ভয়কে
করো জয়’
-মাসুমা আক্তার।
প্রিয়
শিক্ষার্থী বন্ধুরা, কেমন আছো সবাই? ঈদ আনন্দে বিভিন্ন
কল-কোলাহলে সময় গড়িয়ে গেছে বেশ অনেকখানি। আর কিছুদিন পরেই তোমাদের প্রাথমিক শিক্ষা
সমাপনী পরীক্ষা। প্রস্তুতি তো নিতে হবে তাইনা? আর এখন তো সব পরীক্ষা হচ্ছে সৃজনশীল
পদ্ধতিতে। তাই শুধু মুখস্থ বিদ্যায় আর হবেনা। মাথাটা একটু খাটাতে হবে। যেহেতু
সৃজনশীল পদ্ধতিতে কোন গাইড কিংবা পুরনো প্রশ্ন থেকে কমন পড়ার কোন সম্ভাবনাই নেই,
তাই পাঠ্যবইটাকে খুব ভালো করে পড়তে হবে। আমাদের দেশে সব শিক্ষার্থীই কিন্তু সবাই
সব বিষয়ে সমান পারদর্শী নয়। কেউ গণিত খুব ভালো পারে, কেউ আবার বিজ্ঞান। আবার বাংলা
বিষয়ের নাম শুনলেই কারো বা মুখ শুকিয়ে যায়।
আজ
আমরা সৃজনশীল পদ্ধতিতে কিভাবে বাংলা বিষয়ে আনন্দের সাথে পাঠকে আত্মস্থ করা যায়,
সহজবোধ্য করে তোলা যায় সে বিষয়ে কিছু কথা বলবো।
বাংলা
আমাদের মাতৃভাষা। এ ভাষায় নিজেকে সমৃদ্ধ করতে হলে তোমাদের বয়স উপযোগী বিভিন্ন কবি
সাহিত্যিকের ছড়া, কবিতা, গল্প, সংবাদপত্র এগুলো নিয়মিত পড়তে হবে। এতে করে তোমাদের
শব্দভাণ্ডার বৃদ্ধি পাবে, চিন্তাশক্তি বাড়বে। নিজ থেকে কিছু লেখার ক্ষমতা তৈরি
হবে। তোমরা প্রতিদিন নির্দিষ্ট কোন বিষয়ের উপর ১০টা করে বাক্য নিজ থেকে লেখার
অনুশীলন করতে পার। যেমন ধরো, তোমার মা, তোমার প্রিয় বন্ধু, তোমার ছোট ভাই/ ছোট
বোন, যাকে তুমি খুব ভালোবাস তাকে নিয়ে
একটি ছড়া বা কয়েকটি বাক্য লেখার চেষ্টা করতে পার। তোমার প্রতিদিনের কথাবার্তায়
কিছু নতুন শব্দ প্রয়োগ করতে পার। এ ব্যাপারে তোমার মা-বাবা, ভাইবোন বা পরিবারের
অন্যান্য সদস্যরা তোমাকে সাহায্য করতে পারেন। যেমন ধরো, মা তোমাকে ডাকলেন, বাবু
খেতে আয়। তুমি বললে, মা, ইচ্ছে করছেনা। এখন তুমি ভাবতে পার, ইচ্ছে শব্দটার আর কি
প্রতিশব্দ থাকতে পারে এবং সেটা তুমি মায়ের কাছ থেকেও জেনে নিতে পার। শুধু বই পড়েই
সব শিখতে হবে সেটা কিন্তু নয়, প্রকৃতি থেকেও অনেক কিছু শেখা যায়। আমাদের পরিবার,
আমাদের পরিবেশ, আমাদের প্রতিদিনের জীবন-যাপন এ সব কিছু থেকেই আমরা প্রতিনিয়ত শিখতে
পারি। তার জন্য তোমাদের অন্তরে ভাবনার বীজ বপন করতে হবে। যেমন ধরো, তোমাদের বাংলা
বইয়ে একটি কবিতা আছে ‘শব্দদূষণ’। কবিতাটিতে শব্দদূষণের বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করা
হয়েছে। এখন তুমি তোমার নিজ পরিবেশে কী কী কারণে শব্দদূষণ হচ্ছে সেটা নিয়ে তুমি যদি
একটু ভাবো, তাহলে কোন বই-ই মুখস্থ করার প্রয়োজন পড়বে না। তোমার ভাবনাগুলোই কালির
আঁচড়ে ফুটে উঠবে একটি সৃজনশীল লেখা হয়ে। প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই রয়েছে সৃজনশীলতা।
নিয়মিত অনুশীলন আর সযত্ন পরিচর্চায় তোমরা প্রত্যেকেই হতে পার এক একজন সৃষ্টিশীল
মানুষ। শুধু তোমাদের ভাবনার ব্যাপ্তিটা একটু বাড়াতে হবে। ভাবতে হবে প্রতিটা শব্দ,
প্রতিটা বাক্য নিয়ে। শুধু বাংলা বিষয়েই নয়, প্রতিটি বিষয়েই এ ধরনের অনুশীলন আর
পাঠ্যপুস্তকটাকে একটু ভালোভাবে আত্মস্থ করতে পারলেই দেখবে সৃজনশীল পদ্ধতিটাকে ভয়
নয়-বরং এক অপার আনন্দ অপেক্ষা করছে তোমার জন্য।
No comments:
Post a Comment